স্প্যানিশ হল বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক কথ্য ভাষা
স্প্যানিশ হল বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক কথ্য ভাষা, প্রায় 500 মিলিয়ন মানুষ এটিকে তাদের মাতৃভাষা হিসাবে ব্যবহার করে।
যদিও প্রত্যেক দেশ যারা স্প্যানিশ কথা বলে তাদের ভাষার নিজস্ব স্টাইল (বৈচিত্র্য) থাকবে, মূলে তারা সবই স্পেনের দেশ থেকে একই মূল স্প্যানিশের উপর ভিত্তি করে।
বিশ্বের বিশটি দেশ রয়েছে যেগুলির সরকারী ভাষা হিসাবে স্প্যানিশ রয়েছে। আপনি অবাক হতে পারেন যে সেই তালিকায় একটি আফ্রিকান দেশও রয়েছে!
যে সমস্ত দেশ স্প্যানিশ কথা বলে তাদের সরকারী ভাষা হিসাবে হাইলাইট করা হয়েছে।
নীচে আমরা তাদের অবস্থান এবং প্রতিটি দেশ সম্পর্কে কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য সহ তাদের সকলের তালিকা করি৷
স্পেন
স্পেন, ইউরোপ মহাদেশের একটি দেশ, যেখানে স্প্যানিশ ভাষার জন্ম। এখানে স্প্যানিশ ভাষা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং স্পেনের বিভিন্ন অঞ্চলে স্প্যানিশ ভাষার বিভিন্ন উপভাষা প্রচলিত রয়েছে।
মেক্সিকো
মেক্সিকো, উত্তর আমেরিকার একটি দেশ, যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্প্যানিশ ভাষাভাষী মানুষ বসবাস করে। মেক্সিকোর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন দিক স্প্যানিশ ভাষার মাধ্যমে পরিচিত হয়।
আর্জেন্টিনা
দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনা দেশে স্প্যানিশ ভাষা প্রধান ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেসে স্প্যানিশ ভাষা খুব জনপ্রিয় এবং এখানে স্প্যানিশ ভাষার বিভিন্ন উপভাষা প্রচলিত রয়েছে।
কলম্বিয়া
কলম্বিয়া, দক্ষিণ আমেরিকার আরেকটি দেশ, যেখানে স্প্যানিশ ভাষা প্রধান ভাষা হিসেবে প্রচলিত। কলম্বিয়ার বিভিন্ন শহরে স্প্যানিশ ভাষার বিভিন্ন উপভাষা দেখা যায়।
পেরু
পেরু, দক্ষিণ আমেরিকার একটি অন্যতম প্রধান দেশ, যেখানে স্প্যানিশ ভাষা প্রধান ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পেরুর সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে স্প্যানিশ ভাষার গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
চিলি
দক্ষিণ আমেরিকার চিলি দেশেও স্প্যানিশ ভাষা প্রধান ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চিলির বিভিন্ন অঞ্চলে স্প্যানিশ ভাষার বিভিন্ন রূপ দেখা যায়।
অন্যান্য স্প্যানিশ ভাষাভাষী দেশ
উপরোক্ত দেশগুলি ছাড়াও গুয়াতেমালা, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে এবং কিউবায়ও স্প্যানিশ ভাষা প্রধান ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উপসংহার
স্প্যানিশ ভাষার প্রসার এবং জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত। এই ভাষার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়া সম্ভব। স্প্যানিশ ভাষা শিখে আপনি বিভিন্ন দেশের মানুষদের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারেন।
আপনার মতামত বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ!